ঢাকা , শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ , ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৫ চেয়ারম্যানের ছেলেসহ হ্যাকার চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভবদহে খনন শুরু রাতে বাসরঘরে, সকালে আখক্ষেতে মিলল বরের লাশ ভবন মালিককে বিদ্যুৎ বিভাগের নোটিশ গাড়িচালকরা দেশের অন্যতম দক্ষ জনশক্তি-শ্রম সংস্কার কমিশন প্রধান আমি পক্ষপাতদুষ্ট চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভ্যস্ত নই-জ্বালানি উপদেষ্টা ফ্লাইট ওড়ার আগেই স্থগিত হলো কক্সবাজার ‘আন্তর্জাতিক’ বিমানবন্দর বড় পরিবর্তনের আভাস অন্তর্বর্তী সরকারে যাত্রাবাড়ীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় লন্ড্রি দোকান কর্মচারী নিহত মনোরেল চালু হলে চট্টগ্রামবাসী আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ পাবে- চসিক মেয়র ৯ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত রেকর্ড ছাড়িয়েছে খেলাপি ঋণ লিবিয়া থেকে ফিরলেন ৩০৯ বাংলাদেশি অসংক্রামক ব্যাধিতে নিঃস্ব মানুষ পাঁচ দফা দাবিতে ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের যুবলীগ নেতা সম্রাটকে রোববারের মধ্যে আদালতে হাজিরের নির্দেশ ৮ দফা দাবিতে আজ ‘ঢাকা সমাবেশ’ সাগর-রুনির তদন্ত নিয়ে চরম অসন্তোষ সর্বশেষ ৬ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট

সিইসির সঙ্গে বৈঠক ৩৬ প্রস্তাব বিএনপির

  • আপলোড সময় : ২৪-১০-২০২৫ ০৭:০২:২১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-১০-২০২৫ ০৭:০২:২১ অপরাহ্ন
সিইসির সঙ্গে বৈঠক ৩৬ প্রস্তাব বিএনপির
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনকে ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গতকাল বৃহস্পতিবার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল এই প্রস্তাব প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে জমা দেন। যদিও বৈঠক থেকে বেরিয়ে মঈন খান প্রস্তাবের বিষয়ে সরাসরি ‘না’ করেন সাংবাদিকদের। ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে করণীয় প্রস্তাবগুলো নির্বাচন কমিশনের সহিত সভার জন্য প্রস্তাবিত কার্যপত্র’ শীর্ষক প্রস্তাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় ভূমিকা পালন করা; নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজানো; বিগত তিন নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সব বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদেরকে নির্বাচনি দায়িত্ব প্রদান না করার মতো প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমরা কোনো প্রস্তাব জমা দেইনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বৈঠক করে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। সকাল ১১টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আব্দুল মঈন খান বলেন, আমাদের লক্ষ্য কোনো ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থ নয়- জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যই আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ১৭ বছরের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পর, বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, তার ধারাবাহিকতায় আমরা চাই, ১৮ কোটি মানুষ যেন সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পরিবেশে বাস করতে পারে, সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে, আর ১২ কোটি ভোটার যেন নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
যা আছে ৩৬ প্রস্তাবে: নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া বিএনপির ৩৬টি প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের জন্য এখনই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে এই সরকারের এবং নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে হবে; নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য করার লক্ষে মাঠ প্রশাসনকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাতে হবে। যেমন, ডিসি ইউএনও, এসপি, ওসি এবং ক্ষেত্রমতে কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, সবার জন্য প্রযোজ্য হবে; বিগত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের অবৈধ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সব বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের কোনোরূপ নির্বাচনি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না।
আরও রয়েছে, রিটার্নিং অফিসার হিসেবে প্রশাসনের অফিসারদের পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা (ইলেকশন সার্ভিস) কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে দক্ষ, সৎ, অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা; নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনের সমগ্র প্রক্রিয়ায় জড়িত বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব কর্মকর্তার বদলি, পদায়ন, অবস্থান, দায়িত্ব ও তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের ভার নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে নিতে হবে। সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে সামরিক বাহিনী, বিজিবি, র?্যাব, পুলিশসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচনকালীন সময়ে অনিয়মতারোধে কমিটি গঠন ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমানে বিধান বলবৎ রয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন, অবলোকন এবং নির্বাচনকে জনগণের কাছে দৃশ্যমান বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য বিচার বিভাগীয় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও ম্যাজিস্ট্রেরিয়?্যাল ক্ষমতা প্রদান করতে হবে; ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ অবাধ, নির্বিঘ্ন, স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান করার জন্য ভোটকেন্দ্রের গোপনীয় কক্ষের কার্যক্রম ব্যতীত ভোটকেন্দ্রের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ দৃশ্য বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির নিমিত্ত সিসি ক্যামেরা সংস্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনি সময়সূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক জেলার জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে এবং প্রত্যেক উপজেলা/থানায় উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ে একটি করে অভিযোগ নিরসন কেন্দ্র চালু করতে হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো অভিযোগ প্রাপ্তির ১২ ঘণ্টার মধ্যে বা যত দ্রুত সম্ভব তা নিষ্পত্তি করে অভিযোগকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে; সারাদেশে শিক্ষক/শিক্ষিকাদের বার্ষিক পরীক্ষার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনের প্রাক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত একটি বৃহৎ কার্যক্রমে শিক্ষক/শিক্ষিকা, অভিভাবক/অভিভাবিকা তথা ভোটারদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি নির্বাচনসংক্রান্ত নির্দেশনা স্থগিত করতে হবে।
নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং পারসোনাল তথা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলের কাছে চিহ্নিত এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়োগ প্রদান করা যাবে না। যেমন, ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য, ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংকে সারা দেশে প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়োগ বাতিল করেছে এবং এসব শূন্য পদে তড়িঘড়ি করে দলীয় লোকজন নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে; লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষে জুলাই-২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের নামে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দায়ের করা মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলাগুলো নির্বাচনি সময়সূচি জারির পূর্বেই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পূর্বেই বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় প্রদত্ত সব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অগণিত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; সীমান্ত পথে আসা অবৈধ অস্ত্র, নকল টাকা, কালো টাকার অনুপ্রবেশ বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে; সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে এবং দূতাবাসগুলোতে চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিল করতে হবে; নির্বাচন অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও পক্ষপাতহীন হতে হবে। ভোটারদের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগে সম্ভাব্য সব প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে; নির্বাচনে সম্ভাব্য সব কারচুপির সুযোগ প্রতিরোধ করে নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত ফলাফল নিশ্চিত করতে হবে।
ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগে অর্থশক্তি, পেশিশক্তি ব্যবহার ও প্রভাব প্রতিরোধ করতে হবে; নির্বাচনি এলাকায় বহিরাগত কোনো লোক নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না; নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের গৃহীত সাংবিধানিক শপথের প্রতি অনুগত থেকে নিরপেক্ষ ও সাহসী হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে; নির্বাচন যে অবাধ, নিরপেক্ষ ও কারচুপিমুক্ত হচ্ছে তা দেশ ও জাতির কাছে দৃশ্যমান হতে হবে; সব ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে; কোনো রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক বিতর্ক তৈরি করে এমন কোনো বক্তব্য যাতে না দেয় তার প্রাক ব্যবস্থা থাকতে হবে; নির্বাচনে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়- এমন সব অপপ্রচার রোধ করতে হবে; ভোটারদের প্রভাবিত করে এরূপ ধর্মীয় প্রলোভন বা ধর্মীয় দণ্ড প্রদানের ভীতি প্রদর্শন রোধ করতে হবে; অর্থ, দুর্নীতি ও সহিংসতা অর্থাৎ ত্রিপল ‘সি’ (ক্যাশ, করাপশন, ক্রিমিনালিটি)- এর অসৎ প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে বিধি-বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভোটকেন্দ্রকে ভোটারদের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। যতদূর সম্ভব কমসংখ্যক ভোটার নিয়ে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করাই উত্তম; নির্বাচনের যাবতীয় নিয়মকানুন-ভোটাধিকার, ভোটদান প্রক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে ভোটারসহ আপামর জনসাধারণকে পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশন, লিফলেট ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভোটার সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে; নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইনে বর্ণিত সব নির্বাচনি কর্মকর্তাদের (রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা ও সদস্যরা) সার্বিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজ ব্যাসার্ধের মধ্যেই কেবল নয় বরং এর বাইরেও নির্বাচনি এলাকার যে কোনো স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতা তাৎক্ষণিকভাবে দমন করতে হবে; স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের তাদের নিজস্ব জেলায় দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না। তাছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শী বা কোনো দলীয় ভাবধারা প্রচার করে এমন পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া যাবে না; আনসার ও ভিডিপি মোতায়েনের ক্ষেত্রে কোনোক্রমেই নিজ জেলায় মোতায়েন করা যাবে না; কমিউনিটি পুলিশকে কোনোভাবেই ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করা যাবে না।
ছবিসহ ভোটার তালিকা পোলিং পার্সোন্যালসহ সব পোলিং এজেন্টদেরকেও যথাসময়ে সরবরাহ করতে হবে; ভোট গণনা শেষ হওয়ার পরপরই নির্বাচনের ফলাফল প্রতিটি কেন্দ্র হতে সরাসরি ঘোষণা করতে হবে; এবং প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ আইনানুগ স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে। বিভিন্ন দেশে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দানে ইচ্ছুক রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলকে যৌক্তিক সময়ের আগেই সরবরাহ করতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স